হেফাজত নেতাদের সঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বৈঠক নিয়ে যা জানা গেল

পুণ্ড্রকথা ডেস্ক
প্রকাশ: ২০ এপ্রিল ২০২১ ১৮:৩০ ।
প্রচ্ছদ
পঠিত হয়েছে ৫১ বার।

হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হককে রোববার (১৮ এপ্রিল) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রাজধানীর মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া মাদ্রাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গত এক সপ্তাহে এ নিয়ে গ্রেফতার করা হয়েছে সংগঠনটির ১০ কেন্দ্রীয় নেতাকে। এ ছাড়া আরও ২৪ শীর্ষ নেতাসহ হেফাজতের ৩৫ জন বর্তমানে নজরদারিতে আছেন বলে জানা গেছে।

 

সূত্র বলছে, সপ্তাহব্যাপী একের পর এক নেতাকর্মী গ্রেপ্তারে দিশেহারা হেফাজতে ইসলাম। অনেকটা নুয়ে পড়েছেন তারা। গ্রেফতার আতঙ্কও বিরাজ করছে সংগঠনটির শীর্ষ নেতাদের মাঝে। এমন পরিস্থিতিতে সোমবার (১৯ এপ্রিল) রাতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করে সংগঠনটির কেন্দ্রীয় নেতারা।

ধারণা করা হচ্ছে, সরকারের সঙ্গে সমঝোতার পথ খুঁজছে সংগঠনটি। যদিও সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে পুরোপুরি কোনো কথাই বলেননি তারা। 

 

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের ধানমণ্ডির বাসায় সোমবার রাত ১০টার দিকে বৈঠক করেন হেফাজতের অন্তত ১০ জন শীর্ষ পর্যায়ের নেতা। তবে বৈঠকে কী আলোচনা হয়েছে সে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যায়নি। দুই পক্ষ থেকেও তাৎক্ষণিকভাবে কিছু বলা হয়নি।

হেফাজতের মহাসচিব নূরুল ইসলাম জিহাদি বলেন, ‘আমি অসুস্থ। কথা বলতে পারছি না'। এরপরই তারা দ্রুতগতিতে গাড়িতে উঠে চলে যান। একইরকম কথা বলেন মামুনুল হকের ভাই মাওলানা মাহফুজুল হক।

এর আগে রাত ১০টার দিকে হেফাজতের শীর্ষস্থানীয় নেতারা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বাসায় প্রবেশ করেন। এ সময় পুলিশের ঊর্ধ্বতন কয়েকজন কর্মকর্তাও উপস্থিত ছিলেন। এর আগে সোমবার দুপুরে সরকারের একটি গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে হেফাজতের পাঁচ শীর্ষ নেতা বৈঠক করেন। হেফাজতের পক্ষ থেকে বৈঠকে নেতৃত্ব দেন সংগঠনটির মহাসচিব মাওলানা নূরুল ইসলাম জেহাদী।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বাসায় বৈঠকে অংশ নেওয়া হেফাজতের শীর্ষ নেতাদের মধ্যে ছিলেন দলটির নায়েবে আমির মাওলানা আতাউল্লাহ হাফেজী, মহাসচিব নূরুল ইসলাম জেহাদী, মামুনুল হকের ভাই বেফাকের মহাসচিব মাওলানা মাহফুজুল হক, অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান (দেওনার পীর) ও মাওলানা হাবিবুল্লাহ সিরাজী প্রমুখ।